সফিউল আলম সফিঃ আক্কেলপুর(জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসাসের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট ইউএনও পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করেছে একটি প্রতারক চক্র।
বিষয়টি প্রকাশ পেলে উপজেলা বাসীকে সচেতন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পেইজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নকাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজ বাজার বণিক সমিতি লিঃ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবাসায়ী কাজি শফিউীদ্দন এর মুঠোফোনে নবাগত উপজেলা নির্বীহী অফিসারদের জন্য বরাদ্ধ সকরারী মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে একটি প্রতারক চক্র ৩৫ মেঃ টন সরকারী বরাদ্দের চাল ৩৭ টাকা কেজিতে বিক্রী করার মতপোষন করেন। তার (ইউএন ও)র এক লক্ষ টাকার জরুরী প্রয়োজন। টাকা পেলে তিনি চাল সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিবেন।
অপর দিকে পুরাতন বাজার বণিক সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট যানবাহন যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একই কায়দায় প্রতারক চক্র ২০ টন গুটি স্বর্ণা এবং ১৫ টন হাইব্রিড জাতের লক্ষাধিক টাকা মুল্য মানের ৩৫ মেঃ টন সরকারী চাল বিক্রি করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। মূহুর্তে ব্যসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি তো ধান চালের ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করিনা স্যার, তবে আমার অতিপরিচিত চাতাল ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ ভাইয়ের ছেলে তন্ময় ধান চাল কেনা বেচা করেন, তার মুঠোফোনের নস্বর আমার কাছে আছে লিখে নেন।
প্রতারক চক্রটি সেই ধানচাল ব্যবসায়ী তন্ময়ের সাথে কথা বলে দরদাম করে ১ লক্ষ টাকা টাকায় ঠিক হয়। তখন প্রতারক চক্রটি তাদের ব্যবহিৃত ০১৯৫৪-৬৮২৩৩৪ নম্বর মঠোফোনে ওই পরিমান টাকা বিকাশ করে পাঠাতে বলে।
বিষয়টি ব্যবসায়ীদের মধ্যে সন্দেহ হলে তন্ময় এবং জহুরুল ইসলাম একত্রে ওই নম্বরে ফোন করে বলেন, আমরা ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ইউএনও অফিসে আসছি, তখন প্রতরক ডিসি অফিসে অবস্থান করছি বলে জানায়। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সন্দেহের দানা বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা প্রথমে অফিসের ও এস এর সংগে যোগাযোগ কররেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে অবহিত করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন তাৎক্ষণিক ওই সকল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে ফোন করে বলেন এটা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ। কোন ভাবেই আপনারা আকৃষ্ট হবেন না। এ ধরণের কেহ যোগাযোগ করলে আপনারা তাৎক্ষনিক আমাদের অফিস বা আমাদের নিকট সবাসরি যোগাযোগ করবেন।
ইতমধ্যে প্রতারক চক্র তাদের মিশন ব্যর্থ টের পেয়ে তাদের ব্যবহিৃত ফোনটি বন্ধ করে দিয়েছে।
সদ্য যোগদান কারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোন চক্র যাতে প্রতারণা না করতে পারে, সে ব্যপারে সবাইকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলাবাসীকে সচেতন করে পোষ্ট করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতারক বা প্রতারক চক্রের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি’। প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করতে কঠোর ভাবে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
Leave a Reply