অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও স্যাংশনের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই দেশ, এই মাটি আমাদের। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম দেখে অনেকেই একটু ঘাবড়ে যান। তারপর আবার স্যাংশন আসে, ভিসা স্যাংশন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার স্পষ্ট কথা, এই মাটি আমাদের। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি জাতির পিতার নেতৃত্বে। এই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ জানে অধিকার আদায় করতে।
তিনি বলেন, তবে বাংলাদেশ তো ছয় ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর দেশে আমরা তো দেখি কখনো বর্ষা, কখনো ঝড়, কখনো জলোচ্ছ্বাস, কখনো রৌদ্রোজ্জ্বল, আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু দেখে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আজকে যারা আন্দোলনের নামে রোজই আমাদের ক্ষমতা থেকে ফেলে দিচ্ছে আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, যারা এখানে উপস্থিত সবাইকে আমি কবির ভাষায় বলব- ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে; হারা শশীর হারা হাসি অন্ধকারেই ফিরে আসে’। কাজেই আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মেঘের ঘনঘটা আমরা দেখি। আবার তারপর তো সূর্যও উঠে। কাজেই ওই ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের জনগণ তার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা সারাজীবন উজান ঠেলে ঠেলেই এগিয়ে গেছে।ঝড়-ঝঞ্ঝা পাড়ি দিয়েই নৌকা আজকে তীরে ঠেকে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। নৌকা মার্কা স্বাধীনতা দিয়েছে, নৌকা মার্কা অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছি, নৌকা মার্কা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকা মার্কাই স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদের দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাজ একটাই। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। যে অন্ধকার যুগ ছিল, সে অন্ধকার যুগ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করা। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, একে একে সেই ওয়াদা আমি পূরণ করেছি। সে কারণেই কবি সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
রাজধানীর সঙ্গে সারা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশের মানুষকে ‘আরেকটি নতুন উপহার দিয়ে গেলেন’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন কিছুক্ষণ আগেই আমি করেছি। এটা আপনাদের উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’
Leave a Reply