এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) থেকে বড় এক সুখবর পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এএফসির বাজেটে ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি করায় স্টেডিয়াম উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্পের জন্য ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিচ্ছে বাফুফেকে। যা ব্যয় করবে মাঠ ও স্টেডিয়াম উন্নয়নে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার কুয়ালামাপুরে বসেছিল ৩৫তম এএফসি কংগ্রেস। যেখানে অংশ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও। এ কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য নতুন এক দুয়ার উন্মোচন হয়েছে। এএফসি থেকে প্রতিবছর ৫ লাখ ডলার অনুদান পেতো বাফুফে। এবার সেই বাজেট ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি করায় স্টেডিয়াম ও মাঠ উন্নয়নের জন্য আলাদা করে ২.৫ মিলিয়ন ডলার পাবে দেশের ফুটবল ফেডারেশন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন হ্যাপি এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এএফসি কংগ্রেস থেকে আমরা ২.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান পেয়েছি আমাদের স্টেডিয়াম উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য। এছাড়া জাপান, কাতার ও সৌদি আরবের ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। তারা বাংলাদেশে ফুটবলের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী—রেফারি, একাডেমি, খেলোয়াড় উন্নয়ন সব ক্ষেত্রেই।’
এএফসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও হয়েছে গঠনমূলক বৈঠক, যেখানে ফুটবল একাডেমি ও তরুণদের নিয়ে নতুন প্রকল্প উপস্থাপন করেছে বাফুফে। এএফসি প্রেসিডেন্ট আশ্বাস দিয়েছেন, এসব প্রকল্পে পাশে থাকবেন তিনি। কাতার ও জাপানের ফেডারেশন প্রতিনিধিরা শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন—পর্যবেক্ষণের পর শুরু হবে বাস্তবায়নের কাজ।
এদিকে হামজা চৌধুরির লালসবুজ জার্সি গায়ে জড়ানোর পর, বাংলাদেশ ফুটবল নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে সবার। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দেশের বাইরেও প্রশংসা বেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবলের। হ্যাপি আরও বলেন, ‘আমাদের ফিফা র্যাংকিং বেড়েছে, আমাদের ফুটবলার হামজার খেলা প্রশংসা পেয়েছে। অন্য ফেডারেশনগুলো বাংলাদেশ নিয়ে এখন অনেক বেশি আগ্রহী।’
গত বছরের ডিসেম্বরের কক্সবাজারে বাফুফে ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করার কথা ছিলো ফেডারেশনের। তবে ফিফার ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থ এখনও খরচ করতে পারেনি বাফুফে। তবে সে অর্থ খরচ না করতেই আবারও স্টেডিয়াম উন্নয়নের জন্য আরও বরাদ্দ মিললো এএফসি থেকে। এ বিষয়ে বাফুফের পরবর্তী কার্যনির্বাহী সভায় বিস্তর আলোচনা হবে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘ফিফার একটা প্রজেক্টের সঙ্গে আরেকটা প্রজেক্ট সমন্বয় করা সম্ভব না। এটা ফিফা থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে আমরা জমিটা হাতে পাওয়ার পরই কাজ শুরু করবো। সেজন্য আমরা প্রতিনিয়ত কক্সবাজারের ডিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
Leave a Reply