খেলাধুলা ডেস্ক:
চলতি বছরের মার্চে ভারত সিরিজের পর ক্রিকেট থেকে ‘বিশ্রামে’ পাঠানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাদ’ দেয়া হয় এশিয়া কাপের দল থেকে। টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর শুধু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে আসা রিয়াদ শুরুতে কাটা পরেন টি-টোয়েন্টি দল থেকে। এরপর ওয়ানডে দল থেকে বিশ্রাম ও পরে বাদ যান তিনি। আর সে কারণেই রিয়াদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তির সম্ভাবনা দেখ্যা দেয়।
২০২১ সালে বনেদি ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে রিয়াদকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে যান তিনি। এবারে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ মার্চে খেলা ওয়ানডে সিরিজটিই হয়তো তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ, এমনটাই গুঞ্জন উঠেছে ক্রিকেটপাড়ায়।
তবে এখনই রিয়াদের শেষ দেখছেন না জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন। ভেঙে না পরে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সুজনের মতে মাহমুদউল্লাহের সামনে ফেরার সুযোগ আসতেও পারে। কেননা এখনও তিনি বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার।
সুজন বলেন, ‘আমি এটা এখনই বলব না যে ওর শেষটা দেখছি। স্টিল রিয়াদ একজন গুড ফাইটার। আমি মনে করি টিম কম্বিনেশন বা যে কারণেই বাদ পড়ুক না কেন তাতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এটা সত্যি কথা রিয়াদের বয়সও হচ্ছে। আমি এখনও বিশ্বাস করি রিয়াদ যেভাবে ফাইট করে চেষ্টা করে, তাতে শেষ হয়ে গেছে বলাটা ঠিক হবে না। সুযোগ আবার আসতেও পারে। রিয়াদ এখনও বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। সুতরাং আমার মনে হয় রিয়াদ এখনও সেই স্পোর্টসম্যান স্পিরিটটাই রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজের সাথে লড়াই করবে এবং নিজের সাথে লড়াই করাটাই সবচেয়ে বড় লড়াই হবে। আমার মনে হয় ইটস টু আর্লি টু সে রিয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অয়ান্স ইউ আর এ ক্রিকেটার, ইউ আর এ ক্রিকেটার। রিয়াদ যতক্ষণ না পর্যন্ত বলছে ও শেষ করছে, ততক্ষন পর্যন্ত পাইপলাইনে সে অবশ্যই থাকবে। রিয়াদ বাংলাদেশে খেলার মতো যোগ্যতা অবশ্যই রাখে।’
কারো পরিবর্তে না, নিজের যোগ্যতাতেই মাহমুদউল্লাহ ফিরবেন দলে বইলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় দলের সাবেক এই টেকনিক্যাল ডিরেক্টর।
সুজন বলেন, ‘কেউ খারাপ খেলুক, রিয়াদ ওখানে জায়গা করে নিক আমি এটাও বলছি না। আবার এটাও বলতে পারি না কেউ ইনজুরি আক্রান্ত হোক আর রিয়াদ ওখানে খেলুক। রিয়াদের যদি যোগ্যতা থাকে সে অবশ্যই সুযোগ করে নেবে। তবে আমি এটা বলতে চাই, বিশ্বকাপটাই রিয়াদের শেষ কেন। বিশ্বকাপ তো অক্টোবরে শেষ। এরপর তো অনেক ক্রিকেট আছে। রিয়াদ যদি ইয়ো ইয়ো টেস্টে ১৭.৬ পায়, তাহলে তো ও নিজেকে তৈরি করে আরও এক বছর চেষ্টা করতে পারে।’
তিনিন আরও বলেন, ‘কোনো একটা বিশ্বকাপ আসুক, সেটা ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি.. কোনো ক্রিকেটার সুযোগ না পেলে আপনারা বলেন শেষ হয়ে গেল। রিয়াদ তো আর অন্য কিছু করে না, এটাই তার পেশা। আমার মনে হয় ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে। আমার ক্যারিয়ারে আমি দশবার বাদ পড়েছি, দশবার ঢুকে গেছি। এটা ইস্যু বানানোর কিছু নাই। রিয়াদ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। সুযোগ পায়নি। যে পেয়েছে, সে হয়ত এই মুহূর্তে কাজে লাগবে। ফেয়ার এনাফ.. তবে হ্যাঁ, রিয়াদের অভিজ্ঞতা যেটা আমাদের বর্তমান মিডল অর্ডারে কারো কাছে নেই। আমি মনে করি, অভিজ্ঞতা সবসময় বিবেচনা করা হয়।’
Leave a Reply