স্টাফ রিপোর্টার: জয়পুরহাট
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামে লাউ গাছের নিচে মাটি খুড়তে গিয়ে নাঈম নামে এক যুবকের হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় হত্যাকারী স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃরা হলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে রেজ্জাকুল ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন। তারা পাঁচবিবির ধরঞ্জী গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন সন্ধ্যায় পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে নাঈম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিখাঁজের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অনেক খােঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে ২৫ এপ্রিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাঈমের পরিবার।
এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর ধরঞ্জী গ্রামের সামছুল ইসলামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীরা নতুন টয়লেট নির্মানের জন্য মাটি খনন করতে যায়। এসময় ওই স্থানে লাউ গাছের নিচের মাটি খুড়তে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে সেখানের মাটি খুঁড়ে একটি প্যান্ট ও মাথার খুলিসহ হাড়ের স্তুুপ উদ্ধার করে। যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করে। এঘটনায় নাঈমের মা ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির মালিকসহ তিনজনের নামে মামলা করেন।
সে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবিনার সাথে নাঈমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই পরকীয়া সম্পর্কের জেড়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাঈমকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেন আসামিরা।
এদিকে মামলার পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও তদন্তে নামে। অন্যদিকে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর মঙ্গলবার দিনগত রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ ও র্যাব-১২ যৌথ অভিযান চালিয়ে বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
Leave a Reply