তৃতীয় বিয়ে টিকছে না হিরো আলমের!

তৃতীয় বিয়ে টিকছে না হিরো আলমের!

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বাবা মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।  পালক বাবার মৃত্যুর সংবাদটি হিরো আলম নিজেই গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। বাবার পাশে না থাকায় স্ত্রী ও মডেল রিয়ামনিকে জীবন থেকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করলেও রিয়ামনির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

রিয়ামনির বিষয়ে হিরো আলম ফেসবুকে লিখেছেন, রিয়ামনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ আমার বাবা হসপিটালে। সে আমার বাবার কাছে না থেকে বিভিন্ন ছেলেদের নিয়ে নাচগান করে বেড়ায়।  আমার বাবা হসপিটালে ভর্তি।  তার পরিবারে কোনো সদস্য আমার বাবাকে কোনদিন দেখতে আসেনি।

তিনি আরও লিখেছেন, আমার বাবা বেঁচে থাকতে দেখতে আসলো না। তাহলে আমি পড়ে থাকলে সে কি করবে?

হিরো আলম আরও উল্লেখ করেন, রিয়ামনি ঢাকা শহরে বিভিন্ন বারের ডান্সার। সেখান থেকে আমি একটা ভালো পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম। ছেড়ে দেওয়া গরু কোনদিন ঘরে বন্দি করে রাখা যায়?

এদিকে হিরো আলমের মন্তব্যের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রিয়ামনি। হিরো আলমের ফেসবুক পোস্টের কথা শুনেছেন জানিয়ে রিয়ামনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উনি (হিরো আলম) মানসিকভাবে ঠিক নেই উনি। যেহেতু উনার বাবা মারা গেছেন। সত্য কথা বলতে কী- এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’

দুপুরের দিকে ফেসবুকেও হিরো আলমকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন রিয়ামনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা যেহেতু বিনোদনের মানুষ দেশের মানুষ আমাদের থেকে শুধুই বিনোদন চায়। তাই আমি চাচ্ছিলাম না পার্সোনাল বিষয় নিয়ে মিডিয়ার সামনে আসতে। কিন্তু আলম যে বাড়াবাড়ি শুরু করেছে তাতে আর পারছি না।

একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজ করেছেন হিরো আলম।

এরআগে ২০১০ সালে সাদিয়া বেগম সুমির সঙ্গে বিয়ে হয় হিরো আলমের। সেই সংসারে আলো ও আঁখি নামে দুই মেয়ে ও আবির নামে একটা ছেলে সন্তান রয়েছে তার। ২০১৫ সালের দিকে কমেডিয়ান হিসেবে ফেসবুকে ডেব্যু হয় হিরো আলমের।

২০১৯ সালের ৬ মার্চ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হন হিরো আলম। পরে ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুমিকে মারধরের অভিযোগে ৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তার (হিরো আলম) শ্বশুর সাইফুল ইসলাম।

ওই বছরের ১৯ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান হিরো আলম। ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিপরীতে তার জামিন মঞ্জুর করেন বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছড়ির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 tulshigonga24.com privacy-policy Contact Us About Us
Design BY NewsTheme