জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব পাথুরিয়া এলাকায় বেসরকারি টিএমএসএস এনজিও কর্মীদের কিস্তির চাপে আমেনা খাতুন (৪৯) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এনজিও কর্তৃপক্ষ।
নিহত আমেনা সদর উপজেলার পূর্ব পাথুরিয়া গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জয়পুরহাটের বেসরকারি এনজিও টিএমএসএস থেকে ঋন নেওয়া ছিল আমেনা বেগমের। সেখানে দুই সপ্তাহের কিস্তি বাঁকী ছিল আমেনার। শনিবার সকালে এনজির কর্মী কারিমা ও ম্যানেজারসহ তিনজন কর্মী আমেনার বাড়িতে আসেন। এসময় ম্যানেজার কিস্তির জন্য গালিগালাজ করেন ও বিকেল ৪ টার মধ্যে কিস্তি না দিলে মামলার হুমকি দেন। এরপরে তারা চলে গেলে বেলা ১১টার দিকে বারান্দায় বাঁশের তীরে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন আমেনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব হোসেন খোকন বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনলাম নিহতের নাকি টিএমএসএস এনজিওতে কিস্তি বাঁকী ছিল। আজকে তাকে এজন্য চড়া কথা বলেছিল এনজিওর এক কর্মী। এজন্যই সে আত্মহত্যা করতে পারে।পরে আমি এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বামী শাহজাহান বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে আমার কোন ঝগড়া-বিবাদ ছিলনা। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ভ্যান চালাতে চাই। পরে শুনি আমার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে বাড়িতে এসে জানতে পারি কিস্তির লোক এসে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দেয় আমার স্ত্রীকে। কিন্তু কিস্তির বই তাদের অফিসে থাকায় মঙ্গলবারে কিস্তি দিতে চাওয়ায় তারা অনেক খারাপ ভাষায় আমার স্ত্রীকে গালিগালাজ করেন। এতেই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
তবে টিএমএসএসের ঋণ শাখার জয়পুরহাট জোনাল ম্যানেজার আল মামুন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে আমাদের অফিসের কোন কর্মীই যাননি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে কারিমা নামে এনজিও কর্মী তাদের অফিসে চাকরি করেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply