অনলাইন ডেস্ক:
গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ ফ্যাট- দ্রবণীয় ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। অন্যদিকে, ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষের মধ্যে রয়েছে রক্তস্বল্পতা এবং অনেকের মধ্যে ভিটামিন বি বা ফোলেটের অভাব রয়েছে। শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক সবার পুষ্টি গ্রহণের ওপর বিশেষ নজর দেয়া জরুরি। কারণ এই পুষ্টির অভাব ধীরে-ধীরে গুরুতর রোগে পরিণত হয়। পুষ্টির অভাবে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
কমলালেবু: শীতকালে কমলালেবু সহজে ও সস্তায় পাওয়া যায়। এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে। মহামারীর কারণে আমাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার একটি প্রবণতা এসেছে। এর ফলে আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারকে বেছে নিচ্ছি। অন্যদিকে এই কমলালেবু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফোলেটে সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খান।
বেদানা: শীত মৌসুমের আরেকটি ফল হলো বেদানা। এই বেদানাও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ ও ই-সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল দ্বারা পরিপূর্ণ। বিশেষত এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। ১০০ গ্রাম বেদানার মধ্যে ০.৩ গ্রাম আয়রন রয়েছে। এই আয়রন সমৃদ্ধ ফল আদতে অ্যানিমিয়ার মত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।
কলা: শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতে বিশ্বের সব প্রান্তে পাওয়া যায় কলা। ক্ষুধা মেটানোর জন্য সহজলভ্য খাবার এবং সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয় কলাকে। এমনকি যাদের মিষ্টি খাওয়ার প্রতি প্রবণতা বেশি তাদেরকেও সন্তুষ্ট করে এই ফল। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফোলেট রয়েছে যা শরীরে স্বাস্থ্যকর গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আপেল: প্রতিদিন একটি আপেল চিকিৎসকদের থেকে দূরে রাখে-এই কথাটা আমরা সকলেই জানি এবং এটি সত্যি। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অ্যানিমিয়া রোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী আপেল।
Leave a Reply