জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে পাঠানো শোকজের জবাব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সেই শোকজের জবাব দিয়েছেন তিনি।
জবাবে তিনি ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ হাতে পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, যেহেতু আপনার শোকজ নোটিশে আমার নিকট থেকে একত্রে সবকিছু জানতে চেয়েছেন তাই অভিযোগের উত্তর গুলো আমি একত্রেই দিচ্ছি।
জবাবে তিনি বলেন, আপনি জানতে চেয়েছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কেন আমি ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ এবং বিব্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছি। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এই অভিযোগটি অস্বীকার করে আমি বলতে চাই আমি কোনদিন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেই নাই যা আমার স্বভাব ও চরিত্রের বিপরীতে। আমিই প্রথম ২০২৪-এর ১৬ জুলাই রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদকে পুলিশ সরাসরি বুকে গুলি করে হত্যা করার পর বলেছিলাম সে এই একুশ শতাব্দির প্রথম ‘বীরশ্রেষ্ঠ’। আমার বক্তব্যে জুলাই-আগস্ট শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আমি নাকি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কথা বলেছি যা আমার দৃঢ় ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অবিচার। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই আমি ইসলাম ধর্ম এবং আল্লাহ রাসুলে বিশ্বাসী ব্যক্তি। তবে রাজনৈতিক ভাবে ধর্ম ব্যবসায়ীদের (যেমন জামাতে ইসলামী) বিরুদ্ধে চিরদিন কথা বলেছি, আগামীতেও বলব।
এছাড়াও নোটিশে তিনি বলেন, আমার সার্বিক বক্তব্য উপস্থাপনায় যদি প্রমাণিত হয়, আমি কোন ভূল বক্তব্য দিয়েছি তবে আমি দুঃখ প্রকাশ করব। আমার প্রিয় দল বিএনপির কোন ক্ষতি হয় এমন কোন কথা ও কাজ আমি করিনি এবং করবও না। জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের বিচার বিবেচনার প্রতি আমার সর্বোচ্চ আস্থা আছে, আশা করি আমি সুবিচার পাব।
এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি নোটিশটি রবিবার রাত ৯টার দিকে পেয়েছি। একজন বার্তাবাহক বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায়। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নোটিশের জবাব দেব।’
Leave a Reply