ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি আবারও নেইমারের দলে না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করলেন। গত ২৫ আগস্ট চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য ঘোষিত দলে নেইমারের নাম না থাকায় সৃষ্টি হয়েছিল বিতর্ক।
আনচেলত্তি প্রথমে বিষয়টি শারীরিক সমস্যার কারণ দেখালেও নেইমার নিজে দাবি করেছিলেন, এটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত। নেইমারের উরুতে হালকা ফোলাভাব ছিল। যদিও ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি মাঠে নেমে খেলেছেন। এজন্য নেইমার মনে করেন তার শারীরিক অবস্থার কারণে নয়, বরং কোচের সিদ্ধান্তেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, ‘আসলে এটা তেমন গুরুতর কিছুই ছিল না। আমি খেলেছি, তাই এটা শারীরিক সমস্যার জন্য হয়নি। আমি মনে করি আমাকে টেকনিক্যাল কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা কোচের সিদ্ধান্ত এবং তা সম্মান করি।’
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আনচেলত্তি স্পষ্ট করলেন, “হ্যাঁ, এটা সত্যি। নেইমারকে বাদ দেওয়া টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অনেক বিষয় বিবেচনা করে—খেলোয়াড় কী করছে, কী করেছে এবং অতীতে তার কী সমস্যা ছিল। শারীরিক ফিটনেসও একটি বড় মানদণ্ড। আমি আগেও বলেছি, টেকনিক্যাল দিক দিয়ে নেইমারের সঙ্গে তর্ক করার কিছু নেই। কিন্তু প্রতিদিন, প্রতিটি ম্যাচে তার শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন করতে হয়।” ব্রাজিল কোচ আরও যোগ করেন, “জাতীয় দলের জন্য প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। আমাদের অন্তত ৭০ জন খেলোয়াড় আছে, যারা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্য।”
মারাকানায় চিলির বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্রাজিল চান আনচেলত্তি
মারাকানার মঞ্চে বৃহস্পতিবার রাতে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে নামবে ব্রাজিল। ম্যাচকে সামনে রেখে কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানালেন, দলকে তিনি চান আক্রমণাত্মক, তীব্র গতির, তবে রক্ষণে শৃঙ্খলাবদ্ধ।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি নিশ্চিত করেছেন, প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ব্যবহৃত চার ফরোয়ার্ড নিয়েই খেলবেন তিনি। সম্ভাব্য আক্রমণভাগে থাকবেন রাফিনিয়া, এস্তেভাও, জোয়াও পেদ্রো ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। আনচেলত্তি বলেন, “প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আমরা খুশি হয়েছি দলের পারফরম্যান্সে। আক্রমণে, রক্ষণে এবং খেলায় তীব্রতায় আমরা ভালো খেলেছি। চিলির বিপক্ষেও তাই চাই—তীব্র খেলা, ভালো ডিফেন্স, বলের ওপর চাপ এবং দ্রুত আক্রমণ। আশা করি দর্শকরা খুশি হবেন।”
প্রশিক্ষণে যে সম্ভাব্য একাদশ সাজানো হয়েছে: আলিসন; ওয়েসলি, মারকুইনহোস, গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েস, ডগলাস সান্তোস; কাসেমিরো, ব্রুনো গিমারাইশ; রাফিনিয়া, এস্তেভাও, জোয়াও পেদ্রো, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
আনচেলত্তির মতে, জোয়াও পেদ্রো খেলতে পারেন নাম্বার ১০ বা সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে। এস্তেভাওকে নিয়ে আনচেলত্তি বলেন, “আধুনিক ফুটবলে ভেতরে খেলা মিডফিল্ডাররা কমে গেছে। এস্তেভাও সেই ধরনের খেলোয়াড়, যার মান অসাধারণ। ও ভেতরে খেলতে পারে, যেমন রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস, মার্তিনেল্লিও পারে।”
Leave a Reply