জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট সদর উপজেলার বড় তাজপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে (৫০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে স্বামী জহির উদ্দিন (৫৮)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত জহির উদ্দিন একই গ্রামের মৃত অম্পা মন্ডলের ছেলে।
অন্যেিদক সদর উপজেলার দাদরা জন্তিগ্রামের একটি মন্দিরের নয়ন নামে এক পুরোহিতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার গ্রচ্ছগ্রামের নারায়নের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জহির ও রোকেয়ার দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ লেগে ছিল। রোকেয়া চাতালে শ্রমিকের কাজ করতেন। স্বামী জহির বিভিন্ন সময় নেশার টাকার জন্য স্ত্রীকে মারধর করতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শনিবার ভোরে জহির তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য তিনি নিজেই বিদ্যুতের সক খেয়ে বাড়ির টয়লেটের মধ্যে লুকিয়ে থাকেন। এরপর সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে গিয়ে টয়লেট থেকে তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। আর রোকেয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে সদর উপজেলার দাদরা জন্তিগ্রাম এলাকায় একটি মন্দিরের পুরোহিত নয়নের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি শুক্রবার রাতে বাহিরের কোন এক দোকান থেকে চা ও পান খেয়ে বাড়িতে এসে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এসময় তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তিনি কি কারণে মারা গেছেন তা নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ তামবীরুল ইসলাম জানান, সদরের তাজপুর এলাকা থেকে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া দাদরা জন্তিগ্রামের পুরোহিত নয়নের মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply