প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ

প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ

প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ

গত ২২ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত “আলোকিত প্রতিদিন” পত্রিকায় “জয়পুরহাটে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ” শিরোনামে জয়পুরহাট সদরের মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

প্রকৃতপক্ষে আসল ঘটনা হচ্ছে, প্রথমত সংবাদে বলা হয়েছে চাকুরী প্রার্থী মোঃ আব্দুর রহমানকে পত্রিকায় সাবেক শিক্ষক বলা হয়েছে এবং উনি নিজেই স্বহস্থে চাকুরি হতে রিজাইনপত্র প্রদান করেন। (কপি বিদ্যমান) সুতরাং পত্রিকায় প্রাক্তন শিক্ষক বলা এবং রিজাইন দেওয়ায় তার পক্ষে কথা বলার সুযোগ নেই।

দ্বিতীয়ত পত্রিকায় প্রতিষ্ঠানের শুরুর তারিখ ২০১৮ বলা হয়েছে প্রকৃতি পক্ষে তা সঠিক হবে ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারী।

তৃতীয়ত প্রতিষ্ঠানের কোন মন্ত্রনালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি নাই। অথচ (কপি বিদ্যামান) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও কলেজ শাখার স্থাপনের আবেদন করা হয়েছে এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিদর্শন ও পাঠ দানে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ও পাঠ দানের আবেদন গ্রহিত হয়েছে।

চতুর্থত জয়পুরহাট জেলার ৫টি উপজেলা যথা সদর, পাঁচবিবি, কালাই, আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল থানার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি শাখা থেকে ১০৫টি করে পদ হিসাবে মোট ৫৪৫টি পদের লোক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। শুধু মাত্র সদর, কালাই ও ক্ষেতলাল থানায় বিদ্যমান। যা মাধ্যমিক পর্যন্ত কোন ভোকেশনাল, কারিগরি ও কলেজ শাখা নেই। তাহলে কী ভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১০৫ জন করে লোক নিয়োগ করতে পারেন। তাছাড়া জয়পুরহাট সদরের অধ্যক্ষ মহোদয় অন্য কোন শাখার উপর কোন দাবি রাখে না। সুতরাং পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা সম্পূর্ণ ভুল।

পঞ্চমত পত্রিকায় প্রকাশিত কমিটিতে ৫জন মুক্তিযোদ্ধার কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৭টি (কপি বিদ্যামান)। ৬ষ্ঠত কমিটির শীর্ষ পদে একজন ডাক্তারের কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্ঠা অন্য একজন।

ষষ্ঠত প্রকাশিত পত্রিকায় অত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সম্মানিত সচিব মহোদয় হুমায়ুন কবির ও স্কুল প্রধান পরিদর্শক জিয়াউল হক স্যারের আর্থিক অনৈতিক লেনদেনের কথা বলা হয়েছে। যার প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। বোর্ডের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী সচিব মহোদয় কলেজ পরিদর্শন করে এবং বোর্ড অনুমোদনের সাপেক্ষে পাঠ দানের অনুমতি দেওয়া হয়। স্কুল পরিদর্শক জিয়াউল হক এপর্যন্ত কখনোই অত্র প্রতিষ্ঠানে ভিজিট করে নাই। অথচ তার বিরুদ্ধে অনৈতিক লেনদেনের কথা বলা হয়েছে।

সপ্তমত কহিনুর, তরিকুল ইসলাম বাধন, আব্দুল রহমান, হাবিবা সুলতানা, মরিয়ম নিছা মুন্নির, মনোয়ারা বেগম এর কথা বলা হয়েছে। অথচ তারা অনেক আগেই স্বহস্থে লিখিত রিজাইন পত্র দিয়ে গিয়েছেন এবং তাদের সাথে প্রতিষ্ঠানে কোন সম্পূর্ণ নেই।

অষ্টমত বর্তমান কর্মরত শিক্ষক মন্ডলী আরাফাত হোসেন রুপম, বৃষ্টি রানী মন্ডল, শারমীন আক্তার, আশরাফুল নেছা, সোহাগী খাতুন, তানিয়া আক্তার মিম, আশিষ চন্দ্র মন্ডল, এহসানুল হাসান, সহরাব হোসেন, মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, শামিমা আক্তার, তাসলিম সুলতানা, মোঃ রেজয়ান সহ অনেকেই আমাদের প্রতিষ্ঠানে অদ্যবধি কর্মরত আছেন এবং সকলেই স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুতরাং তাদের দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

নবমত পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে, কোন মিটিং ও অনুষ্ঠান করা হয় না। অথচ জাতীয় দিবস ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগষ্ট, ১৬ ডিসেম্বর, শেখ রাসেল জন্ম দিবস, জেল হস্তা দিবস সহ যাবতীয় সরকার ঘোষিত দিবস ব্যানার আকারে পালন করা হয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

এতে প্রমাণ হয় যে উক্ত সংবাদ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।  কুচক্রী মহলের হোতা বগুড়ার শিবগঞ্জ এম.এইচ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষক হামিদুল ইসলাম,  গণপূর্ত ভবন জয়পুরহাট সদর শাখায় অফিস সহায়ক পদে কর্মরত আব্দুর রহমান ও হিচমীর তরিকুল ইসলাম বাধন ষড়ন্ত্র করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি বিনষ্ট করার জন্য এমন ষড়যন্ত্র করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

 

প্রতিবাদকারী

মোঃ তৌফিকুর রহমান চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ
মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, জয়পুরহাট
মোবাঃ ০১৭৫৪-৫৩১১২২

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 tulshigonga24.com privacy-policy Contact Us About Us
Design BY NewsTheme