তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
চন্দ্রজয়ের পর এবার কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য যান পাঠাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।ভারতের প্রথম এক্সরে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট বা এক্সপোস্যাট উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইসরো। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি রকেটে চাপিয়ে এক্সপোস্যাট-কে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পৌঁছে দেবে।
এতদিন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ব্ল্যাকহোল-এর খোঁজ দিত। প্রথম বারের মতো ইসরো তার অত্যাধুনিক রকেট পাঠাচ্ছে। সেখানে থেকেই নিউট্রন তারার জন্ম-মৃত্যু, কৃষ্ণগহ্বরদের শিকারপর্ব, মহাকর্ষীয় তরঙ্গের বিচ্ছুরণ দেখবে ইসরোর স্যাটেলাইট। সে সংক্রান্ত খবর পাঠাবে পৃথিবীতে।
ভারতের তৃতীয় চন্দ্রযাত্রা সফল। এই মুহূর্তে সূর্যে অভিযান করছে সৌরযান আদিত্য এল-১। জানুয়ারির ৬ তারিখের মধ্যে তা সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছবে। তারই মাঝে ব্ল্যাকহোল, নিউট্রন নক্ষত্রদের খবর আনতে মহাকাশে রকেট পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইসরো।
মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নিউট্রন তারা বা নিউট্রন স্টারেরা ভর ও আকারে সূর্যের চেয়েও বহুগুণ বড় হয়। এদের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্ল্যাকহোলদের মধ্যে অনেকেরই ভর সূর্যের ভরের চেয়ে প্রায় ২৩ গুণ বেশি।
মহাকাশের বিশালাকৃতি মহাজাগতিক বস্তুদের মধ্যে নিরন্তর সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয় তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ যা ঢেউয়ের মতো কম্পন তুলে ছড়িয়ে পড়ছে মহাশূন্যে। এই ঢেউয়ের কম্পনকেই বলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। আইনস্টাইন তার সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এবার এরই খোঁজে মহাকাশে চোখ রাখতে চলেছে ইসরো।
Leave a Reply